0% found this document useful (0 votes)
31 views4 pages

Essay Padma

Essay Padma

Uploaded by

hasinabl111111
Copyright
© © All Rights Reserved
We take content rights seriously. If you suspect this is your content, claim it here.
Available Formats
Download as PDF, TXT or read online on Scribd
0% found this document useful (0 votes)
31 views4 pages

Essay Padma

Essay Padma

Uploaded by

hasinabl111111
Copyright
© © All Rights Reserved
We take content rights seriously. If you suspect this is your content, claim it here.
Available Formats
Download as PDF, TXT or read online on Scribd
You are on page 1/ 4

স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা

Educationblog24.com

সূচনাঃ - বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়শীল দেশ । নদীমাতৃক এদেশটিতে দেশি - বিদেশী অনেক জালের মতো
ছড়িয়ে - ছিটিয়ে আছে । তাই স্বভাবতই এদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সেতু একটি ঘুরত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ।
বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদী হলো পদ্মা , মেঘনা এবং যমুনা । এদেশের মধ্যে যমুনা ও মেঘনা নদীর উপর দিয়ে
ইতিমধ্যে সেতু তৈরি হয়েছে । বাকি ছিল শুধু পদ্মা নদী । পদ্মা নদীর উপর দিয়ে নির্মাণাধীন একটি সেতু যার নাম পদ্মা
সেতু এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ - পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর - পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটাবে । এই সেতুকে কেন্দ্র করে
মনে মনে স্বপ্ন বুনছে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ । সকলের আশা এই পদ্মা সেতু বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি ; উন্নত
হবে মানুষের জীবনযাত্রা ।
স্বাধীনতা - উত্তর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্প খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার । নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এক
গবেষণা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী

m
“ পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রতি এক টাকা খরচের বিপরীতে দুই টাকা লাভবান হবে বাংলাদেশ ”

co
পদ্মা সেতুর ইতিহাসঃ -২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের

4.
রাজনৈতিক মেনিফেস্টোর মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল অন্যতম । আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল সরকার গঠন
g2
করার পর পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল অন্যতম কাজ এবং তারা পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করে । এজন্য বিশ্বব্যাংক ,
ADB ( Asian Development Bank ) জাইকা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । কিন্তু পদ্মা
lo
নির্মাণে দুর্নীতির অজুহাত তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিতে অশ্বীকৃ তি জানায় । সাথে সাথে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো পদ্মা সেতু
নির্মাণে ঋণ প্রদান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় । এরপর বিভিন্ন তর্ক - বিতর্কে র পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী
nb

এবং তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা মহান জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের
ঘোষণা দেয় ।
io
at

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রেক্ষাপটঃ - পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন । এজন্য এই
অঞ্চলের মানুষ স্বাধীনতা - উত্তর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের কাছে তাদের দাবি বাস্তবায়নের কথা
uc

জানিয়ে এসেছে । অবশেষে সেতুর সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় এনে ১৯৯৮ সালে প্রথম সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়
Ed

। সমীক্ষা যাচাইয়ের পর ২০০১ সালে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় । কিন্তু অর্থের জোগান না হওয়ায় সেতুর
ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল । পরবর্তীতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে । পরে ২০১১ সালে
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই সেতুতে রেলপথ সংযুক্ত করে ।
ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতুর গুরত্বঃ - বাংলাদেশ
নদীমাতৃক দেশ । এদেশের বুক চিরে বয়ে চলেছে অসংখ্য নদ নদী । তাই যাতায়াত ব্যবস্থায় আমাদের প্রতিনিয়তই
নৌপথের আশ্রয় নিতে হয় । এতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা ও মন্থর গতি পরিলক্ষিত হয় । এই যাতায়াত ব্যবস্থাকে
গতিশীল করার জন্য প্রয়োজন হয় সেতুর । সেতু থাকলে নদীর দুই দিকের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যেমন উন্নতি হয়
, তেমনি ব্যবসা বানিজ্য ভালো হওয়ায় মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে ।

www.Educationblog24.com

প্রতিবন্ধকতা ও বাংলাদেশের সক্ষমতাঃ- পদ্মা সেতু স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রকল্প । বিভিন্ন সময়
নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে এই প্রকল্প । ২০০৯ সালের পর বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ
করলে তাদের সাথে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয় । কিন্তু ২০১২ সালে ধানচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক ;
অগ্নিশ্চয়তার মুখে পড়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প পরবর্তীতে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয় ।
ষড়যন্ত্রের বাধা জয় করে এগিয়ে চলে পদ্মা সেতুর কাজ ; নিজস্ব অর্থায়নে দৃশ্যমান হতে থাকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ।
পদ্মা সেতুর বর্ণনাঃ - পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের র্দীঘতম সেতু । মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রশ্ন ২১.১০
মিটার । এই সেতুটি দ্বিতল ; উপর দিয়ে চলবে যানবাহন এবং নিচে দিয়ে চলবে ট্রেন । সেতুটি নির্মিত হয়েছে কংক্রিট
এবং ও স্টিল দিয়ে । সেতুর দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়েছে । নদী শাসনের জন্য চীনের
সিনহাইড্রো কর্পো রেশন কাজ পেয়েছে । দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কাজ দেওয়া
হয়েছিল বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেডকে । বাংলাদেশ সেনাবাহিনী , বুয়েট এবং কোরিয়া এক্স প্রেসওয়ে
কর্পোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস সেতুর নির্মাণ কাজ তদারকি করেছিল । পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে ১৪ টি
নতুন স্টেশন নির্মাণ এবং ৬ টি বিদ্যমান স্টেশন উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে । নতুন ১৪ টি স্টেশন হলো
কেরানীগঞ্জ , নিমতলা , শ্রীনগর , মাওয়া , জাজিরা , শিবচর , ভাঙ্গা জংশন , নগরকান্দা , মুকসুদপুর , মহেশপুর ,
লোহাগড়া , নড়াইল , জামদিয়া ও পদ্ম বিল । এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নের ৬ টি স্টেশন হলো- ঢাকা , গেন্ডারিয়া , ভাঙ্গা
, কাশিয়ানী , রূপদিয়া ও সিঙ্গিয়া । মূল সেতুর পিলার ৪২ টি । এর মধ্যে নদীর মাঝে ৪০ টি ও নদীর দুই পাড়ে ২ টি
পিলার । নদীর ভিতরের ৪০ টি পিলারে ৬ টি করে মোট ২৪০ টি পাইল রয়েছে । এছাড়া সংযোগ সেতুর দুই পাশের দুটি
পিলারে ১২ টি করে মোট ২৪ টি পাইল রয়েছে । পিলারে উপরে ৪১ টি স্প্যান বসানো হয়েছে । সোনালি রং সূর্যের তাপ

m
কম শোষণ করে বলে পদ্মা সেতুর রং সোনালি । সেতুর কাজ করেছিল চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি

co
লিমিটেড । এই সেতুর স্থায়িত্ব কাজ হবে ১০০ বছর । এই সেতুর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফু ট এবং প্রতিটি পিলারের জন্য
পাইলিং ৬ টি এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয় । এরাই

4.
পদ্মা সেতুর নকশা পরা মর্শদাতা । এই সেতুর ভূমিকম্প সহনশীলতা মাত্রা রিখটার স্কেলে ৯ । এই সেতুতে কর্মরত
একমাত্র বাঙালি নারী প্রকৌশলী হলো ইশরাত জাহান ইশি ।
g2
lo

পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয়ঃ -২০০৭ সালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার পদ্মা
nb

বহুমুখী সেতু প্রকল্প পাস করে । এরপর ২০১১ সালে প্রকল্পের সংশো ধিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি
টাকা । এরপর ২০১৬ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যয় দ্বিতীয়বারের মতো সংশো ধন করা হয় । সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারিত হয়
io

২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা ।


at

পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরত্বঃ - পদ্মা সেতু নির্মাণে দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ - পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার
uc

জনগণের ভাগ্য বদলাবে । সাথে রাজধানী ঢাকার পৌনে দুই কোটি মানুষের খাদ্য দ্রব্যের জোগান সুলভ মূল্যে সম্ভব হবে
। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পারে দ্রুত হারে ।
Ed

শিল্পক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর গুরত্বঃ- পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দেশের দক্ষিণ - পশ্চিমাঞ্চলের সাথে সরাসরি উত্তর -
পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ঘটবে । ফলে এই অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প খাত । তাছাড়া এই সেতুকে কেন্দ্র করে
গতিশীল হবে পায়রা সমুদ্র বন্দর । ফলে ব্যবসায়ের সুবিধার্থে স্থাপিত হবে নতুন শিল্পকারখানা ,।
কৃ ষিক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর ঘুরত্বঃ- বর্ত মানে দক্ষিণ - পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর - পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না
থাকায় মূল্য থেকে বর্ণিত হয় । সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা ওই অঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যয়
গতিশীল হবে । ফলে ওই অঞ্চলের কৃ ষকদের উৎপাদিত ফসল সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাবে । এছাড়া
কৃ ষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সহজ হবে । ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ।
সেতু নিমার্ণে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিঃ প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আমরা প্রায়ই দেখতে পাই
পাটুরিয়া , দৌলতদিয়া , মাওয়া , জাজিরা ঘাটে শত শত বাস , ট্রাক ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে । কিন্তু পদ্মা সেতু
নির্মাণ হলে কম সময়ে কম টাকায় ঢাকার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হবে । তাছাড়া পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ রয়েছে , যা
যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও সহজতর করবে ।
পদ্মা সেতুর রাজনৈতিক গুরত্ব : - পদ্মা সেতু নির্মাণে বর্ত মান সরকার রাজনৈতিকভাবে খুব লাভবান হবে । পদ্মা সেতু
নির্মাণ করা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল । দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ - পশ্চিমাঞ্চলের ভোট সংখ্যা আওয়ামী
লীগের জন্য সুবিধা জনক অবস্থানে যেতে পারে । সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতুকে সফলতা হিসেবে
দেখতে পারবে ।
দারিদ্র বিমোচনে পদ্মা সেতুর প্রভাবঃ - পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ - পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের দারিদ্র বিমোচনে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে । এই সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে ।
ফলে অনেক মানু ষের কর্মসংস্থান হবে । তাছাড়া সহজেই ওই অঞ্চলের মানুষ কাজের জন্য অন্যান্য স্থানে যেতে পারবে ।
এতে বেকারদের কর্ম সংস্থান হবে ।
সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জঃ - বাংলাদেশ সরকার পদ্মাসেতু প্রকল্পটিকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে । এর পেছনে দুটি কারন
রয়েছে প্রথমত , পদ্মাসেতু প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ দাতা । তাই সর দের সঙ্গে সরকারের তিক্ততার সম্পর্ক
তৈরি হয়েছে । কার এই প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে । পাশাপাশি এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সামনে
বাংলাদেশের সক্ষমতাকেও তুলে ধরতে চায় সরকার ।
দ্বিতীয়ত , আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ২০০৮ সালে । প্রকল্পটি

m
বাস্তবায়িত হলে সরকারের প্রতি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আস্থা বহুগুন বেড়ে যাবে ।

co
পদ্মা সেতুর মূল কাজের উদ্বোধনঃ ২০১৫ সালের ১২ ই ডিসে স্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাজিরা পাড়ে নদী
শাস নের কাজের উদ্বোধন করেন । এরপর মাওয়া পাড়ে সুইচ টিপে পাইলিং কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে

4.
শুরু হয় মূল সেতুর নির্মাণযজ্ঞ । স্বপ্নের এ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে । প্রধানমন্ত্রী
g2
সুইচ অন করার পর মুহুর্মুহু করতালির আওয়াজের সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে
lo
শক্তিশালী হাইড্রোলিকা গ্যামারে নদীর তলদেশে গভীর থেকে | গভীরে প্রোথিত হতে থাকে পদ্মা সেতুর মূল পাইল । এর
মাধ্য মে বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া হয় নিজস্ব অর্থায়নেই নির্মিত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম পদ্মাসেতু । এটি আর স্বপ্ন নয় ;
nb

বাস্তবদৃশ্য । সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী দিনে সাক্ষী হতে ঢল নামে হা জারো মানুষের । তারা ছুটে আসেন শ্রীনগর ,
লৌহজং , কেরানী গঞ্জ প্রভৃতি অঞ্চল থেকে । এছাড়া পদ্মার ওপারের জাজিরা ও মেঘনার ওপারের গজারিয়া থেকেও
io

এসেছেন অনেকে । উপস্থিত জনগনের চোখে - মুখে ছিল স্বপ্ন ।


at

নির্মাতা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানঃ - পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে শিফট অনুসারে কাজ করছিল এবং ড্রেজিংসহ
uc

নদীশাসনের কাজও দ্রুত এগিয়ে গিয়েছিল । নদী শাসনের কা জের দায়িত্বে ছিল ' সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন , দেশের
Ed

গুরত্বপূর্ণ এসেতুর মূল নির্মাণ কাজের জন্য চীনের চায়না মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে দায়িত্ব
দেওয়ার পাশাপাশি দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মা নের জন্য যৌথভাবে বাংলাদেশি‘আবদুল
মোনেম লিমিটেড ' ও মালেশিয়ার হাইওয়ে কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট ’ কাজ করে চলছে । এছাড়া পদ্মাসেতুর কাজ
তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতি ষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে’ও
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ।
ভূমি অধিগ্রহণ : মাদারীপুর , মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর তিনটি জেলায় প্রস্তাবিত ১৪২২ , ৭৫ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা
হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্নবাসনের কাজও প্রায় শেষের দিকে । ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ পুনর্বাসনের কাজ শেষ হয়েছে ।
শহরের আদলে নির্মিত পুনবার্সন কেন্দ্রগুলো এখানকার মানুষের মাঝে নগরজীবনের ছোয়া এনে দেয় । ৭ টি পুনর্বাসন
কেন্দ্রে ২৭০০ পরিবারের জন্য প্লট বরাদ্দ রাখা হয়েছে । অধিকাংশ পরি বারের কাছে ইতিমধ্যে প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে
। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ৫ হাজার পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । পুনর্বা সন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায় ,
পরিকল্পিতভাবে দৃষ্টিনন্দিত করে সাজানো হয়েছে । কেন্দ্রগুলোতে স্কু ল , কলেজ , মসজিদ , স্বাস্থ্যকেন্দ্র , মার্কে ট মেড ,
পানির ট্যাংক , পাকা রাস্তা রয়েছে ।
পরিবেশের ভারসাম্যে পদ্মা সেতুর ভূমিকাঃ - পদ্মা সেতু প্রকল্পকে কেন্দ্র করে নদীর দুই পাড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় নদীর
পাড় বাধা হয়েছে । ফলে ওই এলাকায় নদীভাঙ্গন রোধ হবে । এছাড়া নদীর দুই পাড়ে এবং সংযোগ সড়কের রাস্তার দুই
পাশে বৃক্ষরোপণ হচ্ছে । সবুজায়নের ফলে ওই এলাকা মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা পারে । আবার বর্ত মানে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করে বলে অবাধে বৃক্ষনিধন হয় । কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাধ্যমে
ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সং যোগ দেওয়া সহজ হবে । এতে মানুষের জ্বালানির চাহিদা পূরণ হবে । ফলে বৃক্ষনিধন
কমে যাবে এবং পরিবেশের ভার সাম্য রক্ষা পারে ।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু : - প্রশস্ত পদ্মা নদী জুড়ে একটি সেতু র্মিত হয়েছে এবং নদীর দুইপাড়ের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াতের
জন্য এটি ব্যবহার করবে তা কেউ আন্দাজ করতে পারে নি । বা বন্ধু যমুনা সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় আশাবাদী দক্ষিণ -
পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দারা । পদ্মার ওপরও সেতু নির্মিত হয়েছে । জনগণের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণে বর্ত মান প্রশাসনের
আকাঙ্খা রয়েছে । পদ্মা সেতু বিশ্বে দীর্ঘতম সড়ক সেতুগুলোর মধ্যে ২৫ তম ৷৷ এটির দুটি স্তর রয়েছে ও অটোমোবাইল
এবং ট্রেন উভয়ই এটির উপর দিয়ে যাতায়াত করবে । এটি বাগান এবং ফোয়ারা দ্বারা বেষ্টিত হবে । উভয় উপকূ লে ,
পর্যটন কেন্দ্রিক সুযোগ সুবিধা এবং পরিবেশ নির্মাণ করা হবে । এটি হবে মানুষের পুনমিলনের এক ধর নের স্থাপত্য
উপস্থাপনা । আগামী ২৫ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু । ২৫ জুন সকাল ১০ টায় সেতুর
উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । পদ্মা সেতুর উদ্বোধন এবং নামকরণের বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে
থেকে বেরিয়ে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের তিনি বলেন
“ বহু প্রতিক্ষীত পদ্মা সেতু , সেটা করে উদ্বোধন হবে জানার আগ্রহ সবার মধ্যে সেই সুসংবাদ আপনাদের দিচ্ছি ”

m
পদ্মা সেতু ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাঃ - পদ্মা সেতু এশিয়ান হাইওয়ের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে । অর্থনীতিবিদরা মনে

co
করছেন , পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে । পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর ঢাকা শহর থেকে

4.
মাওয়া মহাসড়ক পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক স্থাপিত হবে । পদ্মাসেতুকে ঘিরে হংকং - এর আদলে নগর
গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে । মাওয়া থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত চার লেনের সড়ক হবে ।
g2
উপসংহার : -পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের একটি স্ব প্নের নাম যা আজ বাস্তবায়িত হওয়ার পথে ।। এটি আমাদের
lo
অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেবে । এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণা ঞ্চলে গড়ে উঠবে শিল্পকারখানা , গার্মেন্টস , গোডাউন
nb

প্রভৃতি । ব্যবসা - বাণিজ্যে আসবে নতুন গতি । নানা অনিশ্চয়তাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের ঢাকায় বাঙালির স্বপ্ন এখন
বাস্তবের পথে । এই - অচিরেই বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি , উন্নত করবে মানুষের জীবনযাত্রা ।
io

“ পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ”


at
uc
Ed

You might also like