বিষয়বস্তুতে চলুন

গুড় নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গুড় নদী (আত্রাই নদী (নওগাঁ-নাটোর))
সমসপাড়া গ্রামে গুড় নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য
সমসপাড়া গ্রামে গুড় নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য
সমসপাড়া গ্রামে গুড় নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল রাজশাহী বিভাগ
নগর নওগাঁ জেলা, নাটোর জেলা,
দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার (২২ মাইল)

গুড় নদী বা আত্রাই নদী (নওগাঁ-নাটোর) হচ্ছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নওগাঁনাটোর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৯২ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক আত্রাই বা গুড় নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ০৪।[] সেই হিসেবে আত্রাই নদীর উত্তর শাখাই গুড় নদী নামে পরিচিত।

প্রবাহ

[সম্পাদনা]

আত্রাই নদী নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পঞ্চপুর ইউনিয়নে প্রবহমান আত্রাই নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়ন পর্যন্ত পুনরায় আত্রাই নদীতে পতিত হয়েছে। নদীটির বামতীরে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে।[]

নদীর পরবর্তী অংশ

[সম্পাদনা]

যেখানে উত্তর দিক থেকে আগত নাগর নদী গুড় নদীর সাথে মিলিত হয়েছে ঐ স্থানটির নাম ভাগনগর। এখান থেকে সিংড়া ব্রিজ অতিক্রম করে গুড়নাই নদী নামে ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে চলন বিলে পতিত হয়েছে। অর্থাৎ ভাগনগর থেকে সিংড়া ব্রিজ পর্যন্ত গুড় নদী, সিংড়া ব্রিজ থেকে কালীনগর পর্যন্ত গুড়নাই নদী এবং কালীনগরের পর পুনরায় গুড় নদী নামে চাঁচকৈড় মোহনায় নন্দকুঁজা নদীর সাথে মিলিত হয়ে চলন বিলে পতিত হয়েছে।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৯০। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৮৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯