বিষয়বস্তুতে চলুন

জিওফ আর্নল্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিওফ আর্নল্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জিওফ্রে গ্রাহাম আর্নল্ড
জন্ম (1944-09-03) ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ (বয়স ৮০)
আর্লসফিল্ড, সারে, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
ডাকনামহর্স
উচ্চতা৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৩৬)
১০ আগস্ট ১৯৬৭ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট১৪ জুলাই ১৯৭৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৩)
২৪ আগস্ট ১৯৭২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই১৮ জুন ১৯৭৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৩-১৯৭৭সারে
১৯৭৬-১৯৭৭অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট
১৯৭৮-১৯৮২সাসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩৪ ১৪ ৩৬৫ ২৪৮
রানের সংখ্যা ৪২১ ৪৮ ৩,৯৫২ ৬৮৭
ব্যাটিং গড় ১২.০২ ১৬.০০ ১৩.৬৭ ৮.৪৮
১০০/৫০ ০/১ ০/০ ০/৭ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৫৯ ১৮* ৭৩ ২৪*
বল করেছে ৭,৬৫০ ৭১৪ ৬১,০২৮ ১২,৪৬০
উইকেট ১১৫ ১৯ ১,১৩০ ৩৩২
বোলিং গড় ২৮.২৯ ১৭.৮৪ ২১.৯১ ১৯.৪৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪৬
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/৪৫ ৪/২৭ ৮/৪১ ৫/৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯/– ২/– ১২২/– ৫৩/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৮ আগস্ট ২০১৭

জিওফ্রে গ্রাহাম জিওফ আর্নল্ড (ইংরেজি: Geoff Arnold; জন্ম: ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪) সারের আর্লসফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলের পক্ষে ৩৪ টেস্ট ও ১৪টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন জিওফ আর্নল্ড। সংক্ষেপিত জিজি’র কারণে তিনি ‘হর্স’ ডাকনামে পরিচিতি পান।[] দলে তিনি মূলতঃ সিম ও সুইং বোলার ছিলেন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৮২ সময়কালে পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সক্রিয় ছিলেন। ২১.৯১ গড়ে ১১৩০ উইকেট দখল করেছেন। কাউন্টি ক্রিকেটে সারে[]সাসেক্সের পক্ষাবলম্বন করেছেন। তন্মধ্যে ১৯৭১ সালে সারে দলের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ঐ মৌসুমে তিনি ১০৯ উইকেট দখল করেছিলেন। আঘাতের কারণে ১৯৭০-এর দশকের প্রথমদিক পর্যন্ত দলে নিয়মিত হতে পারেননি।

১৯৭৪ সালে লর্ডসে অজিত ওয়াড়েকরের নেতৃত্বে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে চমকপ্রদ খেলা উপহার দেন। ক্রিস ওল্ডকে সাথে নিয়ে মাত্র ৪২ রানে সফরকারী দলকে গুটিয়ে দেন। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ওল্ড ৫/২১ এবং আর্নল্ড ৪/১৯ নিলে ভারত দল তাদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪২ রানে অল-আউট হয়েছিল।[] ঐ সিরিজে ভারত দল ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ সিরিজে পরাজিত হয়।

কেবলমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদে প্রত্যেক দলের বিপক্ষেই সফলতা পান। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে ভারত ও পাকিস্তানের সফরে যান। ঐ সফরে ১৭.৪৩ গড়ে ১৭ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে দিল্লিতে জয়ী টেস্টে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৯/৯১। পরবর্তী গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১০ ওভার বোলিং করে ৩১ উইকেট দখল করেন। তিনি ও জন স্নো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধ-শতক করেন।

একদিনের আন্তর্জাতিক

[সম্পাদনা]

২৪ আগস্ট, ১৯৭২ তারিখে ৩ ওডিআই নিয়ে গড়া প্রুডেন্সিয়াল ট্রফি প্রতিযোগিতার প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়ার রস এডওয়ার্ডস, ডেনিস লিলি, বব ম্যাসি, পল শিহানগ্রেম ওয়াটসন এবং ইংল্যান্ডের ডেনিস অ্যামিস, জিওফ আর্নল্ড, ব্রায়ান ক্লোজ, টনি গ্রেগবব উলমারের একযোগে ওডিআই অভিষেক ঘটে।[] ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় গ্রেইম ওয়াটসনকে প্রথম বলেই বোল্ড করে অনন্য নজির গড়েন আর্নল্ড। এছাড়াও, ডেনিস অ্যামিস ওডিআইয়ের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ঐ খেলায় ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিল।

১৯৭৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর থেকেই কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। সারে দলে অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেন। ১৯৭৮ সালে আর্নল্ড সাসেক্সে স্থানান্তরিত হন। জন স্নো’র অবসরের কারণে ঐ ক্লাবে পাঁচ বছর অবস্থান করেন। শেষদিকের বছরগুলোয় নিচের সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা চালান।

খেলোয়াড়ী জীবন শেষে সারে দলে বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় পর্যায়ের উদীয়মান বোলারদের উত্তরণে সহায়তাকল্পে অগ্রসর হন। এরপর কেন্টে এ দায়িত্ব পালন করে নর্দাম্পটনশায়ারে রয়েছেন।

১৯৭২ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজনরূপে মনোনীত হন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 15আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "Surrey players". CricketArchive. Retrieved 10 August, 2017.
  3. "scorecard of England vs India, 1974, 2nd test" cricketarchive.com, Retrieved 24 January 2017
  4. "Prudential Trophy (1972): Scorecard of first ODI"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৪, ২০১৭ 
  5. "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]