সংজ্ঞাহীনতা
| সংজ্ঞাহীনতা | |
|---|---|
| বিশেষত্ব | স্নায়ুবিজ্ঞান, মনোচিকিৎসা |
সংজ্ঞাহীনতা বা ইংরেজি পরিভাষায় কোমা হচ্ছে অচেতনতার একটি গভীর অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তিকে জাগ্রত করা সম্ভব নয়, এবং তিনি ব্যাথা সৃষ্টিকারী কোনো উদ্দীপনা, আলো, বা শব্দের প্রেক্ষিতে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে পারেন না। সংজ্ঞাহীনতায় থাকার অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো স্বাভাবিকভাবে ঘুম থেকে ওঠার চক্র অনুপস্থিত থাকে এবং তিনি স্বেচ্ছামূলক কোনো প্রকার কার্য সম্পাদন করতে পারেন না।[১] সংজ্ঞাহীনতায় থাকা রোগীদের মধ্যে সচেতন অবস্থায় থাকার সকল প্রকার লক্ষণ সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত থাকে এবং তারা সচেতনভাবে কোনো কিছু অনুভব করতে, কথা বলতে, বা নড়াচড়া করতে পারেন না।[২] সংজ্ঞাহীনতা প্রাকৃতিক কারণে বা চিকিৎসার অংশ হিসেবে কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি হতে পারে।
চিকিৎসাগতভাবে সংজ্ঞাহীনতাকে ধারাবাহিকভাবে একক পদক্ষেপের আদেশ অনুসরণ করার অক্ষমতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।[৩] এটি গ্লাসগো সংজ্ঞাহীনতা মাপনীর আট বা এর কম মাত্রা হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা ছয় ঘণ্টা বা তার থেকে বেশি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কোনো রোগীর চেতনা বজায় রাখার জন্য জাগ্রত অবস্থা ও সচেতন অবস্থায় থাকার বৈশিষ্টগুলো বজায় থাকতে হবে। জাগ্রতা চেতনার পরিমাণগত তীব্রতা বর্ণনা করে, অপরদিকে সচেতনতা মস্তিষ্কের কর্টেক্সের মাধ্যমে পরিচালিত জ্ঞানীয় দক্ষতামূলক কর্মকাণ্ডগুলোর গুণগত দিকগুলোর সাথে সম্পর্কিত যার মধ্যে রয়েছে, মনোযোগ, সংবেদনশীলতা, স্পষ্ট স্মৃতি, ভাষা, কােনো কাজ সম্পন্ন করার ক্ষমতা, সাময়িক ও স্থানিক অবস্থান অনুধাবন করা, ও বাস্তবতা বিচার করার ক্ষমতা।[২][৪] স্নায়বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, চেতনা পরিচালিত হয় সেরব্রাল কর্টেক্স বা ধূসর অংশ (গ্রে ম্যাটার) থেকে যা মূল মস্তিষ্কের বাইরের অংশ ও রেটিকুলার অ্যাক্টিভেটিং সিস্টেম থেকে যার অবস্থান ব্রেইনস্টেমের ভেতরে।[৫][৬]
লক্ষণ ও উপসর্গ
[সম্পাদনা]সংজ্ঞাহীন (সংজ্ঞাহীনতায় থাকা) অবস্থায় ব্যক্তির সাধারণ লক্ষণগুলি হলো:
- স্বেচ্ছায় চোখ খোলার অক্ষমতা
- একটি অস্তিত্বহীন ঘুম-জাগ্রত চক্র
- শারীরিক (বেদনাদায়ক) বা মৌখিক উদ্দীপনার বিপরীতে প্রতিক্রিয়ার অভাব
- ব্রেইনস্টেমের প্রতিবর্তী ক্রিয়ার অভাব, যেমন চোখের মণিতে আলো ফেললে তা কোনো প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না
- অনিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস
- গ্লাসগো সংজ্ঞাহীনতা মাপনীতে মাত্রা[১] ৩ থেকে ৮[৯]-এর মধ্যে। স্কোর
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Weyhenmyeye, James A.; Eve A. Gallman (২০০৭)। Rapid Review Neuroscience 1st Ed। Mosby Elsevier। পৃষ্ঠা 177–9। আইএসবিএন 978-0-323-02261-3।
- ↑ ক খ Bordini, A.L.; Luiz, T.F. (২০১০)। "Coma scales: a historical review": 930–937। ডিওআই:10.1590/S0004-282X2010000600019। পিএমআইডি 21243255।
- ↑ "The Glasgow structured approach to assessment of the Glasgow Coma Scale"। www.glasgowcomascale.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০৬।
- ↑ Laureys; Boly (২০০৯)। "Coma" (পিডিএফ): 1133–1142।
- ↑ Hannaman, Robert A. (২০০৫)। MedStudy Internal Medicine Review Core Curriculum: Neurology 11th Ed। MedStudy। পৃষ্ঠা (11–1) to (11–2)। আইএসবিএন 1-932703-01-2।
- ↑ "Persistent vegetative state: A medical minefield"। জুলাই ৭, ২০০৭: 40–3। See diagram ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে.
- ↑ "Video of man at beginning of documented 3 month coma."।
- ↑ "Video of man still nonresponsive to stimuli while in coma."।
- ↑ Russ Rowlett। "Glasgow Coma Scale"। University of North Carolina at Chapel Hill। ৪ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]| শ্রেণীবিন্যাস | |
|---|---|
| বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান |